টিউশনি করানো মেয়েগুলো সবচেয়ে বেশি লক্ষ্মী হয়।
১। এরা নিজের শখের কোনো জিনিস কেনার জন্য বাবা মা কিংবা বয়ফ্রেন্ডের কাছে ঘ্যানঘ্যান করে না। চুপচাপ অপেক্ষা করে মাসটা শেষ হবার। বেতনটা হাতে পেলেই তারা চুপিচুপি সেটা কিনে ফেলে।
২। এরা অনেক মায়াবতী হয়। শুধুমাত্র নিজের পছন্দের জিনিস কেনার জন্যই কেবল এরা এদের টাকা খরচ করে না। কখনো কখনো নিজের ছোট ভাই-বোনদের আবদারও তারা মেটায় তাদের এই টিউশনির টাকা থেকে।
৩। এরা স্ট্রাগল করতে পারে। এরা নিজের পড়ালেখা ঠিক রেখে একই সাথে টিউশনি চালিয়ে যায়। টিউশনি করানোর জন্য যে ফ্যামিলি থেকে তাদের প্রচুর প্রেশার দেয়া হয়, তা কিন্তু না। তবু এরা করে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য। নিজের সেল্ফ-স্যাটিসফ্যাকশনের জন্য। অন্তত নিজের হাতখরচ, পাশাপাশি টুকটাক পড়ালেখার খরচ চালিয়ে নেবার জন্য। বাবা মায়ের কাছে আর কতদিন/কতবারই বা চাওয়া যায়?
৪। এদের অনেক সময় খাবারদাবারের সময় ঠিক থাকে না। ক্যাম্পাস থেকে বাসায় ফিরেই প্রিপারেশন নিতে হয় টিউশনিতে যাওয়ার। রিকশা ভাড়ার ২০ টাকা বাঁচাতে এরা বেশিরভাগ সময়ই হেঁটে যাওয়া আসা করে। কী দরকার এই বাড়তি খরচটা করার। টিউশনির বেতনই বা আর কত!
৬। এই মেয়েগুলা জানে টাকা কামাতে কতটা কষ্ট করতে হয়। কতটা স্ট্রাগল করতে হয়। কতটা সেক্রিফাইজ করতে হয়। তাই টাকার প্রকৃত মূল্যটা এরা বোঝে। নিজের কামানো টাকার মূল্য তাদের কাছে যেমন, কাছের মানুষদের কামানো টাকার দামও এদের কাছে তেমন। তাই এরা হয় হিসাবি। বাড়তি খরচ এরা নিজেরাও করে না, অন্যকেও করতে দেয় না।
৬। এরা প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গেলেও খাবারদাবার, গাড়ি ভাড়া এসব খরচ একেবারে বয়ফ্রেন্ডের উপর চাপিয়ে দেয় না। নিজেরাও শেয়ার করে। কারণ ওই তো, টাকার প্রকৃত মূল্য এরা জানে। এরা ম্যাচিউর হয়। দায়িত্বশীল হয়। বাস্তবতা বোঝে। সবমিলিয়ে এরা হয় একেকজন পারফেক্ট ‘ওয়াইফ ম্যাটেরিয়াল’।
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করে বিয়ে করার ইচ্ছা আমার আছে। পাত্রী দেখতে গিয়ে যদি পাত্রীকে আর আমাকে আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগ করে দেয়া হয়, তাহলে পাত্রীকে সর্বপ্রথম আমি যে প্রশ্নটা করবো, সেটা হলো- ‘আপনি কি কখনো টিউশনি করিয়েছেন?’
📝 সূত্র : ইন্টারনেট হতে সংগৃহীতে।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুনঃ h t t p : / / s h . s t / w 3 c y g M