সুস্থ্যতায় আদা চায়ের ভূমিকাঃ
সারা বিশ্বে জনপ্রিয় যত পানীয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো চা। শুধু জনপ্রিয় নয় চা উপকারীও৷ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চায়ের সাথে যদি আদা যুক্ত হয় তা হলে এর উপকারীতা বাড়ে কয়েকগুণ।কারণ আদায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংস করে। জ্বরজ্বর ভাব, গলা ব্যথা ও মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তবে রান্নার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি। আদা-চায়ের বেশকিছু উপকারিতা রয়েছে, এগুলো হলো-
১। শ্বাসকষ্ট কমায়
ঠান্ডজনিত শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে আদাযুক্ত চা। একই সঙ্গে ফুসফুসের সমস্যা দূরকরতেও এই চা বেশ কর্যকর।
২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় –
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে আদা-চা। নিয়মিত ও পরিমিত আদা-চায় শরীরে রক্তসঞ্চালনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া আদা-চা হালকা জ্বর-কাশি দূর করে।
৩। ব্যথা কমায় –
যাদের বয়স একটু বেশি; ঠান্ডায় তাদের শরীরের নানা জায়গায় ব্যথা দেখা দেয়। আদা দেহের পেশী ও হাড়ের ব্যথা নিরাময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ কারণে ব্যথা হলে চায়ের সাথে সামান্য আদা খাওয়া ভালো।
৪। হজমে সহায়ক –
আদা হজমেও সহায়ক। তাই কারো হজমে সমস্যা থাকলে আদা-চা তার জন্য উপকারী হতে পারে। পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করে আদা চা। অনেকেই বেশি পরিমাণে খাওয়ার পর অস্বস্তিতে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আদা-চা খুবই উপকারী।
৫। বমি রোধে কার্যকরী –
বাসে বা ট্রেনে উঠলে অনেকের বমির ভাব হয়। এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আদা-চা। তাই যাত্রার আগে এক কাপ আদা-চা পান উপকারী।
৬। মানসিক চাপ কমায় –
মানসিক চাপ দূর করেতে সহায়তা করে আদা-চা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, চা পাতা ও আদার ঘ্রান মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।
📝 সূত্র : ইন্টারনেট হতে সংগৃহীতে।
আরো তথ্য পেতে ভিজিট করুনঃ h t t p : / / s h . s t / w 3 c y g M