সবুজ বাঁশের ডালের ভেতরের অংশ খাবারে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। শুধু সবজি তৈরি করেই নয়, একে অন্যরকম খাবারের অংশ হিসেবেও আপনি স্বাদ নিতে পারেন। দৈহিক সুস্থতায় বাঁশ বেশ উপকারী। বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মেলাতে এর কার্যকারিতা অপরিসীম। আর তাইতো এই বাঁশের কোড়লকে চিনারা বলে থাকেন ‘স্বাস্থ্যকর খাবারের রাজা’।
বাঁশ এর পুষ্টিগুণ:-
এক কাপ রান্না করা বাঁশের মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার, ৫ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫৩৩ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৯১ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই, ৩১ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। উচ্চ ফাইবার থাকায় ওজন কমাতে বাঁশ কার্যকর। এটি খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ খিদে লাগে না এবং ফুড ইন্টেক কম হয়।
খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে বাঁশকে কার্যকর বলে মনে করা হয়। এতে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। হজম ভালো রাখতে বাঁশও খাওয়া যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন,এমন লোকেদের বিশেষ করে বাঁশ খাওয়া উচিত। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বাঁশের ভালো প্রভাব দেখা যায়।
বাঁশ কীভাবে খাবেন:-
বাঁশ সম্পর্কে একটি বড় প্রশ্ন মনে আসে যে এটি কীভাবে খেতে হয় বা কীভাবে এটি রান্না করা হয়। সবুজ বাঁশ ধুয়ে সিদ্ধ করা হয়। সিদ্ধ করার পর বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
আপনি রান্না করা বেম্বো শ্যুটস মাখন এবং সয়া সসের সঙ্গে মিশিয়ে সবজির সাথে পরিবেশন করতে পারেন। এতে আপনার খাবারের স্বাদ বাড়বে। বেম্বো শ্যুটস স্যুপ, স্টু, সালাদ এবং গ্রেভি তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এর পাশাপাশি আচার তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় বাঁশ। বাজার থেকে সহজেই এর আচার কিনতে পারবেন। তাজা বাঁশের কোড়ল প্রায় ২ সপ্তাহের জন্য ফ্রিজে রাখতে পারেন। এটি সূর্যালোক থেকে দূরে রাখা হয় যাতে এর স্বাদ তেতো না হয়। তবে খেয়াল রাখবেন, কখনই কাচা বাঁশ খাওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারণ এতে পেটের সমস্যা হতে পারে।
তথ্যসূত্র: এখানে দেওয়া সকল তথ্য ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত।
পোস্ট ট্যাগ-
বাঁশ এর ব্যবহার, বাঁশ পাতার উপকারিতা, বাঁশ গাছের রচনা, বাঁশ গাছের বৈশিষ্ট্য, বাঁশ গাছের বিজ্ঞানসম্মত নাম, বাঁশ গাছ লাগানোর পদ্ধতি, বাঁশ কত প্রকার কী কী, বাঁশ কি ধরনের উদ্ভিদ