একজন বিবাহিত পুরুষ যদি অন্য নারীর প্রেমে পড়েন কিংবা নতুন সম্পর্কে জড়ান, তার অর্থ হলো তিনি বিবাহিত জীবনে সুখী নন এমনটিই জানাচ্ছেন সম্পর্ক বিষারদরা। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে প্রতারণার সম্ভাবনা নারীদের তুলনায় বেশি। একজন বিবাহিত পুরুষ বিভিন্ন কারণে অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো দাম্পত্য জীবনে অসন্তুষ্ট হওয়া। এছাড়া একজন বিবাহিত পুরুষ অন্য নারীর প্রতি অভিকর্ষ বোধ করার অন্যতম কারণ হতে পারে শারীরিক আকর্ষণ।এমনকি একজন পুরুষ অন্য নারীর প্রতি আকৃষ্ট বোধ করতে পারেন যদি তার মধ্যে এমন গুণ থাকে যা তার স্ত্রীর নেই। এছাড়া আরও বিভিন্ন কারণে একজন পুরুষ বিবাহিত হয়েও অন্য নারীতে আকৃষ্ট হতে পারে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এর সম্ভাব্য কারণগুলো সম্পর্কে-
১. স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে বোঝাপোড়া ভালো না থাকলে দাম্পত্য সম্পর্কে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যেসব পুরুষ স্ত্রীর সঙ্গে ভালো সময় কাটাতে পারেন না, তারা অন্য কাউকে প্রত্যাশা করেন জীবনে।আর যখনই তেমন কোনো সুযোগ আসে বা মনের মতো কারও খোঁজ মেলে তখনই নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না অনেক পুরুষ।
২. দম্পতি একসঙ্গে থাকা মানেই কিন্তু সুখী সংসার নয়। এক্ষেত্রে নিজেদের সময় দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাকে বলে কোয়ালিটি টাইমস। নিজেদের মধ্যে এই সময়টুকু কাটাতে না পারলেই মন অন্য পথে বেঁকে যেতে পারে দুজনেরই।
৩. স্ত্রীকে যে পুরুষরা সময় দেন না কিংবা স্ত্রী নানা কাজের বাহানায় আলাদা থাকেন, সেসব পুরুষরা একাকিত্বে ভোগেন। আর এ কারণে দাম্পত্যে অশান্তিও দেখা দিতে পারে। ফলে অন্য নারীতে আকৃষ্ট হতে পারেন পুরুষরা।
৪. আবার অনেক পুরুষ আছেন, যারা একজনের সঙ্গে বেশিদিন থাকতে পারেন না। তারা একঘেয়ে হয়ে যান, ফলে অন্যত্র প্রেমে জড়ান স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও।
এমন পুরুষ কিন্তু বিয়ের পরও অন্য নারীর প্রেমে পড়বেন। এমন পুরুষের কাছ থেকে নারীদের সাবধানে থাকা উচিত।
৫. দাম্পত্য জীবনে দুজনের মধ্যে কমবেশি ঝগড়া হওয়া স্বাভাবিক। তবে দৈনিক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে তার থেকে বাড়ে দূরত্ব। একে অন্যকে এড়িয়ে চলেন তারা। প্রতিদিনের ঝগড়ায় বিরক্ত হয়ে অনেক পুরুষ স্ত্রী থেকে আলাদা হয়ে যান ও অন্যত্র সম্পর্ক গড়েন।
প্রত্যেকের দাম্পত্য জীবনেই কোনো না কোনো সমস্যা থাকে। তাই বলে পরকীয়া কিংবা সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করা উচিত নয় কারও।স্ত্রীর সঙ্গে আপনার বনিবনা না হলে নিজেদের মধ্যে কথা বলুন প্রয়োজনে কাউন্সিলিং করুন। একেবারেই সংসার না টিকলে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিন। তাই বলে একটি সম্পর্কে থাকতে সঙ্গীকে ধোকা দেওয়া উচিত নয়।
সবারই ভুল-ত্রুটি থাকে, এসব মেনে নিয়েই দুজন সংসার গড়েন। তাই যতটা সম্ভব সঙ্গীর কথা ভাবুন ও তার প্রতি আরও যত্নশীল থাকুন, দেখবেন দাম্পত্য জীবন সুখের হবে!
সূত্র: ম্যারেজ.কম
পোস্ট ট্যাগ-
সমবয়সী বিয়ে,পারিবারিক বিয়ে,সমবয়সী সম্পর্কের সমস্যা,কমবয়সী,কোন মেয়েদের করতে ভালো লাগে,স্বামীর ভালোবাসা কিভাবে পাওয়া যায়,স্বামীর সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়