তবে কার কখন, কোথায়, কার সাথে বিয়ে হবে
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে
বলা
অসম্ভব। কিছু
ভাগ্যবান নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স হওয়ার সাথেই বিয়ে
সম্পন্ন করতে সমর্থ হয়। আবার
অনেকেই আছেন যারা
বিয়ের
পেয়ে যাচ্ছেন কিন্তু সহজে
বিয়ে
হচ্ছে
না।
আবার
অনেকেই এমনও আছেন যে, একেবারেই বিয়ের
কোন প্রস্তাব পাচ্ছেন না। ফলে তারা মানষিকভাবে হতাশায় ভুগছেন।
সুতরাং যাদের বিয়ের
উপযুক্ত বয়স
হয়েছে
বা
বিয়ের
বয়স
পার হয়ে যাচ্ছে,
তাদের
দ্রুত
বিয়ের ব্যবস্থা করতে
রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু
আমল।
যে
আমলগুলি নিয়মিত করলে আল্লাহর রহমতে
দ্রুত
বিয়ের ব্যবস্থা হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে।
নিম্নে আমলগুলি দেওয়া হলো -
কিভাবে আপনার ইনকাম কয়েকগুন বৃদ্ধি করবেন ?
ইসতেগফা করা-
সব
সময়
ইসতেগফার করা। অর্থাৎ
আসতাগফিরুল্লাহ পড়া।
যে
ব্যক্তি বেশি
বেশি
ইসতেগফার করে,
সে
আল্লাহর প্রিয় পাত্র হয়ে
যায়।
ইসতেগফারকারীর দোয়া
আল্লাহ
কখনো
ফেরত
দেন
না।
اَسْتَغْفِرُ الله
উচ্চারণ : আসতাগফিরুল্লাহ।
পুরো দোয়াটি নিচে দেওয়া হলো-
اَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّوْمُ وَ
اَتُوْبُ اِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা
ইলাহা
ইল্লা
হুয়াল
হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া
আতুবু
ইলাইহি।’
সুরা ইয়াসিন পাঠ করা-
সুরা
ইয়াসিন এর এই আমলটি আল্লাহর রহমতে বিয়ে
সংক্রান্ত সব
জটিলতার সমাধান
করে
দেবে ইনশা-আল্লাহ। যাদের
বিয়ের
প্রস্তাব আসে কিন্তু কোন কারণ ছাড়াই বিয়ে ভেঙ্গে
যায় অর্থাৎ বিয়ে হয়
না,
তাদের
জন্য
এই
আমলটি খুবই কার্যকরী। আমলটি হলো-
সুরা ইয়াসিনে ভিন্ন ভিন্ন আয়াতে ৭টি মুবিন রয়েছে। প্রতিদিন সকালে সূর্য যখন লাল হয়ে উদিত হয় তখন কিবলামুখী হয়ে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা। সুরা ইয়াছিন তিলাওয়াত করা অবস্থায় যখন ‘মুবিন’ শব্দটি তেলাওয়াত করা হবে তখন শাহাদাত আঙুল দিয়ে সূর্যের দিকে অর্থাৎ পিছনের দিকে ইশারা করবে।
আমরা কি হাদিস মানতে বাধ্য ? কোরআন থেকে বিস্তারিত জানুন।
সুরা দোহাসহ সুরা কাসাসের এ আয়াত পাঠ করা-
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا
أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
উচ্চারণ : ‘ফাসাক্বা লাহুমা
ছুম্মা
তাওয়াল্লা ইলাজজিল্লি ফাক্বালা রাব্বি
ইন্নি
লিমা
আংযালতা ইলাইয়্যা মিন
খায়রিং
ফাক্বির।’
হজরত
মুসা
(আ:)
একাকি
ও বিষন্নতা অনুভব করা
অবস্থায় এ আয়াতটি
বেশি
বেশি
তেলাওয়াত করতেন।
তাই ওলামায়ে কেরাম
বিবাহ হচ্ছে না এমন নারী-পুরুষদের এ আমলটি দিয়ে থাকেন।
যদি
কোনো
ছেলে খালেছ নিয়তে সম্পূর্ণ আল্লাহর
উপর ভরসা করে এ আয়াতটি
১০০
বার
তিলাওয়াত করে
তাহলে খুব শীঘ্রই
আল্লাহ
তাআলা
তার
জন্য
উপযুক্ত পাত্রীর ব্যবস্থা করে
দেবেন ইনশা-আল্লাহ।
যদি কোন মেয়ে খালেছ নিয়তে সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর ভরসা করে নিয়মিত
সুরা
দোহা
১১
বার
তেলাওয়াত করে
আল্লাহ
তাআলা তার জন্য উপযুক্ত পাত্রের ব্যবস্থা করে
দেবেন ইনশা-আল্লাহ।
সুরা তাওবার এ আয়াতটি তেলাওয়াত করা-
فَإِن تَوَلَّوْاْ فَقُلْ حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ
تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ফাইং
তাওয়াল্লাও ফাকুল
হাসবিয়াল্লাহু লা
ইলাহা
ইল্লাহুয়া আলাইহি
তাওয়াক্কালতু ওয়া
হুয়া
রাব্বুল আরশিল
আজিম।’
প্রতিদিন ফরজ নামাজ আদায় করার পর বিয়ে প্রত্যাশী ছেলে মেয়েরা নিয়মিত এই আমলটি করুন।
সুরা মরিয়ম তেলাওয়াত করা-
- سُبْحَانَ الله : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩
বার
পড়া।
- اَلْحَمْدُ لِلّه : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩
বার
পড়া।
- اَللهُ اَكْبَر : আলহামদুলিল্লাহ ৩৩/৩৪ বার পড়া।
সুরা মুজাম্মিল তেলাওয়াত করা-
যদি
কোন
মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হওয়ার পরেও বিয়ের
কোন প্রস্তাব না
পায়
তাহলে
অভিভাবকদের যে
কোনো
১ জন
শুক্রবার জুমআর
নামাজ আদায়ের পর
২ রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে
২১
বার
সুরা
মুজাম্মিল পড়বে।
আল্লাহ তাআলা বিয়ে
প্রত্যাশী সকল ছেলে-মেয়ে এবং তাদের অভিভাবকদের নিয়মিত উপরে উল্লেখিত আমলগুলো খালেছ নিয়তে সম্পূর্ণ আল্লাহর
উপর ভরসা করে যথাযথভাবে করার তাওফিক
দান
করুন।
আমিন।