প্রত্যেকটি প্যাকেটজাত
খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটের গায়ে সেই খাবারে ব্যবহৃত মূল উপাদানগুলির তালিকা লেখা
থাকে। আবার কোনো কোনো খাবারের প্যাকেটের গায়ে মূল উপাদানগুলির নামের পরিবর্তে
উপাদানে বিশেষ সংকেত বা কোড লেখা থাকে। আমরা যদি সেই কোডটি চিনতে পারি যে, কোন
কোডটি কোন পন্যের তাহলে আমরা নিশ্চিত হতে পারবো যে পণ্যটি হালাল ? নাকি হারাম ?
তাই আমরা আজ আপনাদের মাঝে শুধুমাত্র হারাম উপাদানের কোডগুলি তুলে ধরার চেষ্টা করবো
ইনশা-আল্লাহ। যাতে আমরা কোন পন্যের গায়ে এই কোডগুলি দেখে সনাক্ত করতে পারি যে,
পন্যটিতে হারাম উপাদান রয়েছে। আল্লাহ আমাদের সকলকে হারাম থেকে বাচাঁর তৌফিক দিন।
আমীন।
হারাম
খাদ্য পণ্যের কোড তালিকা নিম্নরুপ-
E-100 E-110 E-120 E-140 E-141
E-153 E-160 E-163 E-210 E-213 E-214 E-234 E-250 E-252 E-270 E-280 E-320 E-322
E-325 E-326 E-327 E-334 E-335 E-336 E-337 E-422 E-430 E-431 E-432 E-433 E-434
E-435 E-436 E-440 E-470 E-471 E-472 E-473 E-474 E-475 E-476 E-477 E-478 E-479
E-480 E-481 E-482 E-483 E-487 E-491 E-492 E-493 E-494 E-495 E-535 E-542 E-550
E-570 E-572 E-573 E-631 E-635 E-640 E-655 E-904 E-905 E-920
সৌদি আরবের সরকারি পত্রিকা থেকে কোড এর তালিকাটি নেওয়া হয়েছে।
কোড
দেখে কিভাবে বুঝবো হারাম কিনা?
বর্তমানে অনেক প্রডাক্টে মৌলিক
উপাদানগুলোর নামের পরিবর্তে কোড দেওয়া থাকে। যদি উপরে উল্লেখিত কোড এর সাথে আপনার
প্রোডাক্টের কোন কোড মিলে যায়, তাহলে বুঝতে পারবে যে এই পণ্য হারাম উপাদান ব্যবহার
করা হয়েছে।
এই
কোডভুক্ত খাবারগুলো কেন হারাম?
উপরে উল্লেখিত কোডগুলি একেকটি ভিন্ন
ভিন্ন হারাম উপাদানের পরিচয় বহন করে। আর তাই সেই কোডভুক্ত খাদ্যদ্রব্যগুলো ইসলামে
হারাম। যে সকল খাবার ইসলামে হারাম করা হয়েছে, সেই সকল খাবারের কোনো উপাদান
পরিপূর্ণ বা আংশিক মিশ্রিত তৈরি খাবারগুলোও হারাম। তাই মুসলিম উম্মাহকে হারাম
খাদ্য থেকে বাচাঁনোর উদ্দেশ্যে বিশ্লেষগণ হারাম খাবারের কোড তালিকা দিয়ে থাকেন।
এছাড়াও আল্লাহ ব্যতীত অন্য
কারোও নামে জবাইকৃত হালাল প্রাণীর মাংসও হারাম । ইসলামের নির্ধারিত নিয়মের বাহিরে
জবাইকৃত হালাল প্রাণীর মাংসও হারাম।
এ
প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন -
১। হালাল ও হারাম আল্লাহ
কর্তৃক নির্ধারিত। তাই প্রত্যেক মুমিন নিঃসংকোচে তার অনুসরণ করে। কেননা সে বিশ্বাস
করে, ‘তিনি তাদের জন্য পবিত্র (ও উত্তম) বস্তু হালাল করেছেন এবং অপবিত্র (ও
অনুত্তম) বস্তু হারাম করেছেন। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
২। আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা
আল্লাহর ওপর ঈমান আনে না ও পরকালের প্রতিও নয়; আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুল যা হারাম
করেছেন তা হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বিনের অনুসরণ করে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ
করবে—যে পর্যন্ত না তারা নত হয়ে নিজ হাতে জিজিয়া দেয়। ’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ২৯)
৩। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের
জিহ্বা মিথ্যারোপ করে বলে আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করার জন্য তোমরা বলো না এটা
হালাল এবং এটা হারাম। ’ (সুরা নাহল, আয়াত : ১১৬)
৪। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে
মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের জন্য উত্কৃষ্ট যেসব বস্তু হালাল করেছেন, সেসবকে তোমরা
হারাম কোরো না এবং সীমা লঙ্ঘন কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীদের পছন্দ
করেন না। ’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ৮৭)
৫। আল্লাহ বলেন, ‘বলুন! আল্লাহ
স্বীয় বান্দাদের জন্য যেসব শোভার বস্তু ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি করেছেন তা কে
হারাম করেছে? বলুন! পার্থিব জীবনে বিশেষ করে কিয়ামতের দিন এসব তাদের জন্য, যারা
ঈমান আনে। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৩২)
৬। আল্লাহ বলেন, ‘তারা তাদের
ধারণা অনুসারে বলে, এসব গবাদি পশু ও শস্য ক্ষেত নিষিদ্ধ; আমি যাকে ইচ্ছা করি সে
ছাড়া কেউ এসব আহার করতে পারবে না। ’ (সুরা আনআম, আয়াত : ১৩৮)
শেষ
কথা –
আল্লাহ আমাদের সকলকে হারাম
খাবার থেকে হেফাজত করুন, আমীন। হারাম উপাদান থেকে নিজে সতর্ক হউন এবং অন্য মুসলিম
ভাইকে সতর্ক করতে পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করুন। আল্লাহ আমাদের নেক প্রচেষ্টাকে
কবুল করুন, আমীন।
পোস্ট
ট্যাগ-
হারাম খাবারের তালিকা, শুকরের
চর্বির কোড, হালাল খাবারের তালিকা, হালাল কোড চেক, ই ৯৫১ হালাল নাকি হারাম, ই ২১১
হালাল না হারাম, হালাল ই কোড, E code verifier, শুকরের চর্বির ই কোড, ই-কোড যাচাই,
ই-৯৫১ কি হালাল, ই ৩২২ কি হালাল