কিন্তু ওয়াইফাই এর কভারেজ কম এবং শুধু বাসায় ব্যবহার উপযোগী। তাই সার্বক্ষনিক ইন্টারনেট কভারেজের মধ্যে একমাত্র ভরসা মোবাইল ইন্টারনেট। মোবাইলে ডাটার উচ্চ মূল্য এবং ইন্টারনেট সার্ভিস কোয়ালিটি সন্তোষজনক নয়। আমরা কম মূল্যে ভালো সার্ভিস পেতে চাই। আজ আপনাদের সাথে বাংলাদেশে চলমান মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট প্যাকেজের মূল্য এবং সেবা নিয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
অনলাইনে চাকরি খোঁজার সেরা ১০ টি ওয়েবসাইট
অপারেটর ভিত্তিক সেবার মান নিয়ে আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা নিচে দেওয়া হলো –
১। গ্রামীনফোন- গ্রামীনফোন বাংলাদেশের
সর্ববৃহৎ এবং প্রথম জিএসএম মোবাইল নেটওয়ার্ক। সারাদেশেব্যাপী তাদের বিস্তৃত
নেটওয়ার্ক রয়েছে। মোবাইল ডাটার কোয়ালিটি সন্তোষজনক নয়। তাদের মোবাইল কলরেট এবং
মোবাইল ডাটা প্যাকেজের উচ্চমূল্যের কারণে তাদের সেবা নেওয়া মধ্যবিত্যদের জন্য
কষ্টসাধ্য।
২। রবি – গ্রামীনফোন তাদের কার্যক্রম শুরু করার কিছু দিন পরেই রবি (সাবেক একটেল) বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। তাদের নেটওয়ার্ক কভারেজ এবং সেবার মান সন্তোষজনক নয়। বর্তমানে এয়ারটেল ও রবি একিভূত হওয়ার পরেও তাদের সেবার মান উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি ।
৩। বাংলালিংক – গ্রামীনফোন ও রবির অনেক পরে বাংলাদেশে বাংলালিংক তাদের কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতেই বাংলালিংক দ্রুতগতিকে দেশব্যাপি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার পাশাপাশি কলরেট কমিয়ে গ্রাহক টানার চেষ্টা করে। গ্রাহকসেবায় তারা বিশেষ মনোযোগ দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশে বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে বাংলালিংক এর ইন্টারনেট প্যাকেজগুলি তুলনামূলক সাশ্রয়ী এবং সেবার মান তুলনামূলক ভালো।
মোবাইল অপারেটরদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কোড ।
৪। টেলিটক – বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়াত্ব প্রতিষ্ঠান টেলিটক। টেলিটকের ইন্টারনেট প্যাকেজগুলি বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের চেয়ে সাশ্রয়ী। আপনার এরিয়াতে যদি টেলিটকের ফুল ৪জি নেটওয়ার্ক থাকে তাহলে আশা করা যায় আপনি ইন্টারনেট ব্রাউজিং এ ভালো স্পিড পাবেন। টেলিটকের নেটওয়ার্ক কভারেজ অনেক কম এবং গ্রাহক সেবার মান সন্তোষজনক নয়।