প্রত্যেক মানুষের যৌন চাহিদা
রয়েছে। এটি খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি বিষয়।
স্বামী-স্ত্রী যৌন মিলন করে এবং প্রজনন প্রক্রিয়ায়
অংশ নেয়। এভাবেই পৃথিবীতে মানব প্রজাতির শুরু থেকে এ এখন পর্যন্ত ধারাবাহিকতা বজায়
রয়েছে। অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে যে, যৌন মিলন কি শুধুই আনন্দ ও প্রজননের
জন্য ? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- না। যৌন মিলন
শুধু আনন্দ ও প্রজননের জন্য নয়। এর বাইরেও রয়েছে যৌন মিলনের কিছু বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
যা আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে থাকে।
যৌন মিলনের কিছু
বৈজ্ঞানিক উপকারিতা নিম্নরুপ-
১. শারীরিক ব্যয়াম -
নিয়মিত যৌন মিলন আপনাকে দেবে
শারীরিক ব্যায়ামের পরিপূর্ণ সুফল। যে সকল মহিলা মাসে একবার যৌন মিলনে অভ্যস্ত তাদের
তুলনায় যারা সপ্তাহে অন্তত দুই বার যৌন মিলনে অভ্যস্ত তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক
কম।
২. মাথা ব্যথা উপসম করে -
মাথা ব্যথা উপসমে যৌন মিলনের
কোনো জুড়ি নেই। এটিকে মাথা ব্যথার একটি অভ্যর্থ্য ঔষধও বলা যায়। গবেষণা মতে, শরীরের
যে কোনও ব্যথার দ্রুত উপসমে যৌনতা ম্যাজিকের মত কাজ করে। এমনকি মাইগ্রেনের মতো বিরক্তিকর
ব্যথা দূর করতেও যৌন মিলন খুবই ফলপ্রসূ।
৩. স্ট্রেস কমায় -
যাঁরা নিয়মিত যৌন মিলনে অভ্যস্ত,
তাঁরা সাধারণত স্ট্রেসে ভুগে না। শারীরিক যৌন
মিলনের মাধ্যমে অঙ্ক কষা বা কোনো লেকচার দেওয়ার মতো কাজে মানসিক চাপের হাত থেকে মুক্তি
পাওয়া যায়।
৪. আয়ু বৃদ্ধি করে -
নিয়মিত যৌনজীবন উপভোগে আয়ু
বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় মতে, যে সমল মহিলারা যৌন মিলনের সময় চুড়ান্ত অনুভূতি পেয়ে থাকেন,
তাঁরা সাধারণত দীর্ঘ্যায়ু লাভ করেন।
৫. মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে -
মস্তিষ্কের সার্বিক উন্নতি
ঘটাতে নিয়মিত যৌন মিলনের অভ্যাস করুন। বিজ্ঞানীদের মতে, যৌন মিলনের সাথে মস্তিষ্কের
কোষ বৃদ্ধির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের নিয়মিত যৌন মিলনের ফলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। ফলে তারা জটিল
অঙ্ক কষার মতো কাজও করতে পারেন।
৬. আনন্দের চাবিকাঠি -
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, আনন্দের
চাবিকাঠিই হলো যৌনমিলন। দাম্পত্য সম্পর্ক মজবুত
করতে সপ্তাহে অন্তত একবার শারীরিক মিলন করা প্রয়োজন। তবে সঙ্গী বা সঙ্গীনির প্রতি বিশ্বস্ততা
যেন অটুট থাকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
৭. মেদ কমায় -
নিয়মিত যৌন মিলন শরীরের মেদ
ঝরাতে খুবই কার্যকরী। যৌন উদ্দামতা যার যত বেশি, মেদ কমার সম্ভাবনা তার ততই প্রবল।
৮. সর্দি-কাঁশি সারাতে -
বিজ্ঞানীদের মতে, সর্দি-কাঁশি
সারাতেও নিয়মিত যৌন মিলন দ্রুত কাজ করে। গবেষণা অনুযায়ী, যারা সপ্তাহে দুই বার যৌন
মিলনে অভ্যস্ত, তাঁদের মুখের লালায় অন্য ব্যক্তিদের
তুলনায় সর্দি-কাঁশির বিরুদ্ধে লড়ার অ্যান্টিবডির উপস্থিতি অনেক বেশি লক্ষ করা
গেছে।
৯. গভীর ঘুম -
যৌন মিলনের ফলে আপনি পেতে পারে
সাউন্ড স্লিপ বা গভীর ঘুম। প্রতিবার অর্গ্যাজমের ফলে পুরুষ ও নারী উভয়ের শরীরে অক্সিটসিন এবং এনডরফিন হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শরীরের
ব্যথা অনেকাংশেই কমে যায়। ফলে গভীর ঘুম হয়।
১০. ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে -
নিয়মিত যৌন মিলন ক্যান্সার
প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। যারা নিয়মিত যৌন মিলন করেন তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার
সম্ভাবনা কমে যায়। যে সকল পুরুষ নিয়মিত যৌন মিলনে অভ্যস্ত, তাঁদের প্রস্টেট ক্যান্সারের
ঝুকি কম থাকে। নিয়মিত যৌন মিলনের ফলে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
এটি গবেষণায় প্রমানিত।
শেষ কথা -
আজকের আমাদের আলোচ্য বিষয়টি
ছিল, নিয়মিত যৌন মিলনে উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে
আসবে। তাই আসুন আমরা মানুষিক চাপ কমিয়ে নিয়মিত সুস্থ্য-স্বাভাবিক যৌনজীবন উপভোগ করার
মাধ্যমে সুখি দাম্পত্য সম্পর্ক গড়ে তুলি।
পোস্ট ট্যাগ -
প্রতিদিন সহবাসের অপকারিতা,
সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, অতিরিক্ত সহবাসের উপকারিতা, প্রতিদিন স্ত্রী সহবাসের
উপকারিতা, প্রতিদিন সহবাসের অপকারিতা, প্রতিদিন সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, সকালে
সহবাসের উপকারিতা, কতক্ষণ সহবাস করা উচিত, দুপুরে সহবাস করলে কি হয়, কি খেলে ১ ঘন্টা
সহবাস করা যায়, সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, প্রতিদিন সহবাস করলে কি বাচ্চা হয়,
দীর্ঘদিন সহবাস না করার ক্ষতি, মেয়েদের সহবাস না করলে কি ধরনের ক্ষতি হয়