বিষন্নতা এমন একটি রোগ যে রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের বাঁচার ইচ্ছাটাই মরে যায়। বিভিন্ন মানসিক রোগের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বিষন্নতা। বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, প্রায় প্রত্যেকেই জীবনের কোনো না কোনো সময় বিষন্নতায় ভুগে থাকেন।
অতি আবেগের কারণেই বিষণ্ণতা দেখা দেয়। সাধারণত কোনো মানুষ যখন তার প্রিয কিছুকে হারায় বা কাঙ্ক্ষিত কিছু অর্জনে ব্যর্থ হয়, তখনই সাধারণত বিষন্নতার সৃষ্টি হয়। বিষন্নতা শরীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে দৈনন্দিন কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
বিষন্নতা দীর্ঘমেয়াদি হলে মৃত্যুর মতো বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে আমাদের এর কারণগুলো জানা জরুরি।
বিষন্নতার কারণগুলি নিচে বর্ণনা করা হলো -
১। পারিবারিক কোনো বিষাদের কারণে অথবা জিনগত কারণেও বিষন্নতা হতে পারে।
২। বিশেষ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বিষন্নতা হতে পারে।
৩। ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা সামাজিক কোন বিষয়ের কারণেও বিষন্নতা হতে পারে।
৪। একটানা দীর্ঘসময় কাজ করার ফলেও বিষন্নতা বাড়ায়।
৫। কঠিন রোগে দীর্ঘদিন ভুগলেও বিষন্নতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৬। নিজের ব্যাপারে সবসময় নেতিবাচক ধারণা পোষণ করার ফলেও বিষণ্ণতার জন্ম দেয় ।
৭। অপর্যাপ্ত ঘুম বিষণ্ণতার জন্ম দেয়।
প্রতিকার –
১। চিপস, বার্গার ও কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন। নিয়মিত শাক সবজি খান।
২। রুটিন অনুযায়ী দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন করুন ।
৩। বন্ধু বান্ধব , আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত জনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।
৪। কাজের ফাকে নিজেকে একটু বিশ্রাম দিন।
৫। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৬। দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় প্রকৃতির সাথে কাটান।
৭। ধর্মীয় ইবাদতে সচেষ্ট হউন।
শেষ কথা –
উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে মেনে চলার মাধ্যমে আমরা বিষণ্ণতার হাত থেকে বাঁচতে পারি। সর্বদা নিজেকে মানষিক চাপমুক্ত রাখার পাশাপাশি নিজেকে ধর্মীয় কাজে ব্যাস্ত রাখতে পারি। আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ।
পোস্ট ট্যাগ –
বিষন্নতা কাটানোর উপায়, বিষন্নতার শারীরিক লক্ষণ, বিষণ্ণতা অর্থ কি, বিষন্নতা কেন হয়, বিষন্নতা রোগের ওষুধ, বিষন্নতার ওষুধের নাম, বিষন্নতা দূর করার খাবার