করোনাভাইরাসের
তান্ডবে মানুষ যখন দিশেহারা। তখন আমরা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে
মনোযোগী হই। গবেষকদের মতে - কালোজিরা পটাশিয়াম, ফসফরাস ও নানান অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
সমৃদ্ধ ভেষজ হওয়ায় কালোজিরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালি করতে সক্ষম। এছাড়াও
কালোজিরায় এসেনশিয়াল অয়েল বিদ্যমান থাকায় তা সর্দির মোকাবিলা করতে সক্ষম। কালোজিরাকে
বিভিন্ন রোগের মহা ঔষধ হিসেবে গন্য করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এটি বিভিন্ন রোগের প্রাকৃতিক
দাওয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কালোজিরার বিশেষ কিছু উপকারিতা নিম্নে দেওয়া হলো
-
১। কালোজিরায়
ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট, কেরোটিন,
শক্তিশালী হরমোন, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান ছাড়াও জীবাণুনাশক বিভিন্ন উপাদান
বিদ্যমান থাকায় তা ক্যানসার প্রতিরোধক, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী
ও অম্লরোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
২। কালোজিরায়
ভিটামিন, স্ফটিকল নাইজেলোন, অ্যামিনো অ্যাসিড, স্যাপোনিন, ক্রুড ফাইবার, প্রোটিন, ফ্যাটি
অ্যাসিডের মতো লিনোলেনিক, ওলিক অ্যাসিড, উদ্বায়ী তেল, আয়রন, সোডিয়াম, পটাসিয়াম
ও ক্যালসিয়াম থাকায় তা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, একজিমা, এলার্জি ইত্যাদি সহ বিভিন্ন
রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৩। কালোজিরায়
এসেনশিয়াল অয়েলে ৩৭.৩ শতাংশ প্যারাসাইমিন ও ১৩.৭ শতাংশ থার্মোক্যুইনিয়ন পাওয়া যায়।
মানবদেহে এর উপকারিতা বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রমানিত।
৪। কালোজিরা বেটে
ভাতের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। আয়ুর্বেদ মতে - সর্দি হাঁচি কাশি সারাতে কাপড়ে পুঁটলি
করে ঘষে শুঁকলে উপকার পাওয়া যায়।
৫। কালোজিরা শরীরের
প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে তুলে। কালোজিরা মানব শরীরের বাসা বাধা নানা জীবানুর
বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে কালোজিরার জুড়ি নেই।
৬। কালোজিরার
তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিনে ২বার মুখে লাগালে। মুখের ব্রণ ও দাগ দূর হয়।
৭। মাথাব্যথার
জন্য কালোজিরার তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুলে উপকার পাওয়া যায়।
৮। কালোজিরা ও
সরিষার তেল একসাথে গরম করে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট এর ব্যথায় ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি
জয়েন্টের ব্যথায় খুবই কার্যকরী।
৯। কালোজিরা শিশুর
মস্তিষ্কের সুস্থতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে
কার্যকরী।
১০। আপনার প্রতিদিনের
খাদ্য তালিকায় কালোজিরার ভর্তা রাখুন। এটি হাঁপানি ও শ্বাস কষ্টজনিত নিরাময় করে।
শেষ কথা -
উপরে উল্লেখিত
বিষয়গুলি ছাড়াও কালোজিরা অসংখ্য রোগ নিরাময়ে কাজ করে। একটি আর্টিকেলের মাধ্যমে কালোজিরার
পরিপূর্ণ গুনাগুন বর্ণনা করা সম্ভব নয়। আজকের ”কালোজিরা খাওয়ার ম্যাজিক” এই শিরোনামের
আর্টিকেলটির মাধ্যমের কালোজিরার প্রাকৃতিক গুনাগুনের মৌলিক বিষয়গুলি তুলে ধরার চেষ্টা
করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে ইনশা-আল্লাহ। ধন্যবাদ।
পোস্ট ট্যাগ -
কালোজিরা খাওয়ার
নিয়ম, কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা, কালোজিরা খাওয়ার
ইসলামিক নিয়ম, কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হাদিস, প্রতিদিন কতটুকু কালোজিরা খাওয়া উচিত,
প্রতিদিন কালোজিরা খেলে কি ক্ষতি হয়, টানা ৭ দিন কালোজিরা খেলে কি হয়