কালের পরিক্রমায় প্রযুক্তির নানা উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের সামনে এসেছে সাড়া জাগানো artificial intelligence (AI) প্রযুক্তি।
artificial intelligence (AI) তথ্য প্রযুক্তির প্রতিটি সেক্টরে ভূমিকা রাখছে। আজ এই
আর্টিকেলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এর সুবিধা- অসুবিধা এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশা-আল্লাহ।
আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন যে, জাপানসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো
তাদের সংবাদ মাধ্যমকে artificial intelligence (AI) প্রযুক্তির সাহায্যে আধুনিকায়ন করেছে। এআই প্রযুক্তি
দ্বারা পরিচালিত সংবাদ মাধ্যমগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো
সময় বাচিয়ে তাদের কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন যন্ত্রপাতি
ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানি তাদের মতামত জানিয়েছেন
ধারণা করা হচ্ছে আগামী ১২০ বছরের মধ্যে এইআই প্রযুক্তির মানুষের প্রাই সব ধরনের কর্মক্ষেত্র
দখল করবে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল এমনটিই মতামত দিয়েছেন।
যখন কোন মেশিন মানুষের মত বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণ করে তখন
সেটিকে টিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট (এআই) প্রযুক্তির
সহায়তায় একটি মেশিন নিম্নের বিষয়গুলি সমাধান করতে পারে।
১। যুক্তি।
২। সমস্যার সমাধান।
৩। মানুষের ভাষা বোঝার সক্ষমতা।
৪। উপলব্ধি।
৫। শিক্ষন।
৬। পরিকল্পনা।
উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার , রোবট এবং অন্যান্য যন্ত্র
এআই প্রযুক্তির অন্তর্ভূক্ত।
বিশ্বজুডে একটি আলোচিত প্রযুক্তি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স। এ নিয়ে বড় আকারে আলোচনা-সমালোচনা হলেও বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে
আপনাকে এই প্রযুক্তির জ্ঞান জানা আবশ্যক।
আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা :
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এটি এমন একটি প্রযুক্তি যা
কখনো ভুল করে না। সে তার প্রোগ্রাম অনুযায়ী যথাযথভাবে কাজ করে। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের
ফলে কাজের সময় বাচে ও সঠিক তথ্য এবং সঠিক পারফরমেন্সের পাওয়া যায়।
একাধারে ২৪/৭ দিন কাজ করার সক্ষমতা রাখে এআই প্রযুক্তি।
কোন কর্মীর পক্ষে একটানা ৭ দিন ২৪ ঘন্টা কাজ করা সম্ভব নয়। মানুষের বিশ্রামের প্রয়োজন
হয় ফলে একটানা কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এআই সম্পন্ন একটি মেশিন একটানা কাজ চালিয়ে
যেতে পারে।
এআই প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে এতটাই সহজ করে দিয়েছে যে
তা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু প্রত্যেকটি জিনিসের ভালো ও মন্দ দিক থাকে। এআই প্রযুক্তিও
এর ব্যাতিক্রম নয়।
আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা :
এ আই প্রযুক্তির অসুবিধাগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এটি
অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ফলে এটি সর্বসাধারণের নাগালের বাইরে। সব সময় লেটেস্ট হার্ডওয়ার
এবং সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট রাখাতে ব্যবহারকারিকে মোটা অংকের অর্থ খরচ করতে হয়। এছাড়াও
কর্মিদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখতে হয়। সব মিলিয়ে এ প্রযুক্তির
পরিপূর্ণ সেটাপের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন ।
এআই প্রযুক্তি মানুষের বিকল্প হিসেবে কাজ করাই এর ব্যবহার
কর্মসংস্থান কমিয়ে দেয়। এটি উদ্যোক্তাকে সুবিধা দিলেও কর্মসংস্থান কে প্রভাবিত করে।
ফলে তথ্য প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকা কর্মীরা চাকরি হারাবে।
এ প্রযুক্তি প্রোগ্রাম নির্ভর অর্থাৎ তাকে যেভাবে কমান্ড
দেওয়া হবে সেভাবেই কাজ করবে। এটি সৃজনশীল কোন চিন্তাভাবনা করতে পারে না। এআই প্রযুক্তি
দ্রুত উন্নত হলেও কোন সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় আবেগকে কাজে লাগাতে পারে না। ফলে এটি
মানুষের সাথে আণবিক সংযোগ তৈরি ব্যার্থ হয়।
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমাদের জীবন মান সহজ হচ্ছে। কিন্তু
আমরা দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছি। এআই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধির ফলে আমরা সমস্যাগুলো
সমাধানে আমাদের মস্তিষ্ককে কাজে লাগাচ্ছি না। এটিও পরবর্তী প্রজন্মের উপর একটি নেতিবাচক
প্রভাব বিস্তার করবে।
শেষ কথা -
বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে এআই প্রযুক্তির সুবিধা, অসুবিধা
ও ভালো-মন্দ দিক তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে। তথ্য-প্রযুক্তিতে
বিশ্ব আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাক এমনটাই প্রত্যাশা করি।
পোস্ট ট্যাগ-
এ আই কি , আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যাখ্যা
কর , আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করবে , কোন প্রযুক্তির
মধ্যে চিন্তা করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে , বুদ্ধিমত্তা কি , কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
এবং সাংবাদিকতা , Ai technology কি , কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রধানত ব্যবহৃত হয় কোনটি