আর্থার সি ক্লার্ক একজন বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক। তিনি তাঁর ‘দ্য ফাউন্টেনস অব প্যারাডাইস’ নামক বইটিতে স্পেস এলিভেটর সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য তুলে ধরেছিলেন। সেই বইটিতে উল্লেখিত বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাতে অনেক বিজ্ঞানীই আকৃষ্ট হয়েছিলেন।
বিভিন্ন মুভি, সিনেমায় দেখানো কাল্পনিক ঘটনাগুলোকে এখন বাস্তবে রূপ দিচ্ছে বিজ্ঞানীরা। সেই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় চালু হতে যাচ্ছে স্পেস এলিভেটর।
ইতিমধ্যে জাপানি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি করপোরেশন এক বিশেষ ধরনের এলিভেটর নির্মাণের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে মহাকাশে পাড়ি জমানো যাবে।
মহাকাশে যাওয়ার জন্য বর্তমানে একমাত্র মাধ্যম রকেট। এলিভেটরের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু হলে মহাকাশের যাত্রা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে।
মহাকাশে যাতায়াতের জন্য এলিমিটেড ব্যবস্থা চালু হলে তা সর্বসাধারণের জন্য সাশ্রয় ও নিরাপদ। বর্তমানে রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পণ্য পাঠাতে কেজি প্রতি প্রায় ২২০০০ ডলার খরচ হয়। এলিভেটর এর মাধ্যমে মহাকাশে কেজি প্রতি পণ্য পাঠানোর খরচ নেমে আসবে ২০০ ডলারে।
৩৬০০০ কি.মি. দীর্ঘ কেবল দিয়ে তৈরি হবে স্পেস এলিভেটরের মূল অংশ। যাতে ব্যবহার করা হবে কার্বন ন্যানোটিউবের মতো ভারী উপাদান, যা স্টিলের থেকেও শতগুন শক্তিশালী। কেবলের একপ্রান্ত পৃথিবীপৃষ্ঠে যুক্ত থাকবে। অপরটি মহাশূন্যের ৩৬০০০ কি.মি. উপরে যুক্ত থাকবে। ১৩০০০ টনের মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে কেবলের অন্য প্রান্ত যুক্ত করা হবে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য।
পোস্ট ট্যাগ -
মহাকাশ ভ্রমণের লিফট , মহাশূন্যের শুরু ও বিস্তৃতি ব্যাখ্যা কর , মহাকাশ ও উপগ্রহ , পৃথিবী থেকে মহাকাশের , দূরত্ব কত , মহাকাশের শুরু কোথা থেকে , বাংলা সাহিত্যে কল্পবিজ্ঞান pdf , মহাকাশ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান , বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও রূপকথার মধ্যে পার্থক্য , মহাকাশ সম্পর্কে ১০টি বাক্য , মহাকাশের শেষ কোথায় , মহাকাশে কি আছে , আকাশ বা মহাকাশ কী , মহাকাশে অবকাশ যাপন