আমাদের চারপাশের রাস্তাঘাটে দেখা পেলেই প্রশ্ন করে বসেন, তুমি বিয়ে কেন করছো না? আবার অনেকেই এও বলেন যে, জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান মিলবে বিয়ের মাধ্যমেই। কিন্তু আমাদের সমাজের বাস্তবতা হচ্ছে, বিয়ের মাধ্যমেই দায়িত্ব কাঁধে আসে। তাই এই দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার আগে অবশ্যই ঠিকঠাকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে।
আমাদের জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই অধ্যায়টি শুরু করার আগে অবশ্যই প্রস্তুতি নেয়ার প্রয়োজন। এ জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি আরও অনেক বিষয় রয়েছে। বিয়ের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত, প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়টি অনেকেই সময়মতো বুঝতে পারেন না।
বিয়ের জন্য আপনার প্রয়োজন -
১। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা-
বিয়ের আগেই আপনার মাঝে সহনশীল আচরণ ও ধীরস্থির হওয়া জরুরি। বিয়ের পরও মন এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করে, তাহলে জীবনসঙ্গীকে নিয়ে নতুন সংসারের দায়িত্ব সামলাবেন কীভাবে? জীবন সঙ্গীর সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করতে হবে। কোনো সমস্যা হলে ঠান্ডা মাথায় সমাধান করতে হবে। অল্পতেই রেগে যাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
২। আর্থিক স্বাবলম্বী-
বিয়ে মানেই সংসার জীবনে প্রবেশ করা। আর সংসারের আর্থিক যোগান কীভাবে সামলাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখতে হবে। যার সঙ্গে ঘর বাঁধতে যাচ্ছেন, তার লাইফস্টাইল সম্পর্কেও ধারণা রাখা জরুরি। আগে বিয়েটা হয়ে যাক, আর্থিক বিষয়গুলো পরে দেখা যাবে। এমনটা ভাবা উচিৎ নয়। বিয়ের পর নতুন সংসারে আপনার বর্তমান আয়ে সাংসারিক খরচ বহন করা সম্ভব কিনা, তাও বিবেচনায় রাখতে হবে।
৩। পরিণত আচরণের প্রতিজ্ঞা-
নতুন জীবনে প্রবেশ করার পর আপনার সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক কিছুই ঘটতে পারে। যা আপনাকে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। আর এমন প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের নেতিবাচক বিষয়গুলিকেও ইতিবাচক ভেবে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। একজন দায়িত্বশীল প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মাঝে এ গুণাবলী থাকে। আপনার মাঝে যদি এ ধরনের মানসিকতার উপস্থিতি না থাকে, তাহলে বুঝে নিবেন আপনি বিয়ের জন্য এখনও মানসিকভাবে প্রস্তুত নন।
৪। নিজের সম্পর্কে সচেতনতা-
ভালো ও মন্দ উভয় গুণাবলী মিলেই একজন মানুষ। এ জন্য নিজের প্রতি মনোযোগী হউন। আপনার খারাপ দিকগুলো দাম্পত্য জীবনে কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। সর্বদা নিজের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। আপনার দুর্বলতা, শক্তি ও বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়ে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত তা যাচাই করুন।
৫। সহযোগিতামূলক আচরণ-
সর্বদা সবার প্রতি সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে। নতুন জীবনে উভয় পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। তাদের প্রতি দায়িত্ব দক্ষতার সাথে সামলাতে হবে। এ বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কি প্রস্তুত?
৬। জীবন সঙ্গীর সঙ্গে মতের মিল-
যার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চাচ্ছেন, তার সঙ্গে আপনার আদর্শ, বিশ্বাস ও লক্ষ্যের মিল থাকা একান্ত জরুরি। আপনার হবু সঙ্গিনীর সঙ্গে আপনার জীবনের লক্ষ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন। তার মতাদর্শ জানার চেষ্টা করুন। এরপর বুঝতে পারবেন, আপনি কতটা প্রস্তুত তাকে বিয়ে করার জন্য।
পোস্ট ট্যাগ -
একজন মানুষ কখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত হয়? , কিভাবে বুঝবেন বিয়ের সময় হয়েছে? , বিয়ের জন্য প্রস্তুত না হলে কি করব? , কিভাবে বুঝবেন আপনি বিয়ে করবেন না? , বিয়ের আগের প্রস্তুতি , বিয়ের আগে ও পরে করনীয় , বিয়ে করার প্রস্তুতি , বিয়ের কতদিন আগে ফেসিয়াল