গ্রীষ্মের শুরুতে সামান্য গরম অনুভূত হলেও তা এখন অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ সারা দেশেই চলছে তীব্র দাবদাহ।
আজ যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ ছুঁয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আরো ৪ দিন স্থায়ী হতে পারে এই চলমান দাবদাহ। এমন অস্বস্তিকর গরমে একটানা দীর্ঘ সময় রোদে বা যেখানে বাতাস প্রবাহ কম এমন স্থানে থাকলে হিটস্ট্রোক এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শিশু ও বয়স্কদের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশী।
গরম থেকে রক্ষা পেতে করণীয় -
১. পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরিধান করার চেষ্টা করুন।
২. সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন।
৩. পানিশূন্যতা এড়াতে বেশী বেশী পানি ও শরবত পান করুন।
৪. স্যালাইন পানিতে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি বিদ্যমান থাকায় এ পানি শরীরকে সজীব রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৫. দীর্ঘ সময় শরীর ঘামালে পানিশূন্যতা পূরণে স্যালাইন পান করুন।
৬. সিজনাল ফলের তাজা জুস পান করুন।
৭. এই সময়ে নিয়মিত খাবারে মাংসের পরিবর্তে ফল ও সবজী খাদ্য তালিকায় রাখুন।
৮. প্রস্রাবের রঙ স্বাভাবিক কিনা তা খেয়াল করুন, প্রস্রাবের গাঢ় রঙ পানি স্বল্পতার লক্ষণ।
৯. ঘরের বাহিরে গেলে সর্বদায় ছাতা ব্যবহার করুন।
১০. দিনের বেলায় বাইরে কম যাওয়ার চেষ্টা করুন। ত্বকের সুরক্ষায় প্রয়োজনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
হিটস্ট্রোক কী ?
বাইরের তাপমাত্রা কমবেশি হলেও আমাদের শরীর তা প্রায় স্থির রাখতে সক্ষম। কিন্তু অতিরিক্ত দাবদাহ হলে আমাদের শরীরের তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক কাজ করে না। ফলে শরীরের ঘাম বন্ধ হয়ে দ্রত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাপমাত্রার এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় হচ্ছে হিট স্ট্রোক।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণ -
১. শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
২. অতি গরমের কারণে অজ্ঞান হয়ে যায়।
৩. মাথা ঘুরতে থাকে।
৪. তীব্র মাথা ব্যথা অনুভূত হয়।
৫. শরীরের ঘাম কমে যায়।
৬. ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
৭. পেশিতে টান ও শারীরিক দুর্বলতা অনুভূত হয়।
৮. বমি হয়।
৯. হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি পায়।
১০. শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
১১. মানসিক বিভ্রম তৈরি হয়।
১২. খিঁচুনি দেখা দেয়।
হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক চিকিৎসা -
হিটস্ট্রোক হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
চিকিৎসা শুরুর পূর্বে যা করা প্রয়োজন:
১. আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঠান্ডা স্থানে নিয়ে যেতে হবে।
২. শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় ও ভারী কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
৩. ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে ঘন ঘন শরীর মুছে দিতে হবে।
৪. শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ ও শরীরের ভাঁজে আইস ব্যবহার করা যেতে পারে।
পোস্ট ট্যাগ -
এতো গরম কেন , রান্নাঘর ঠান্ডা রাখার উপায় , আবহাওয়া ঠান্ডা গরম সমান হওয়ার কারণ , বাংলাদেশে এত গরম কেন , গরমে রুম ঠান্ডা করার উপায় , টিনের ঘর ঠান্ডা রাখার উপায় , গরমে ঠান্ডা থাকার উপায় , ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্র