প্রস্রাবের রং ই বলে দেবে আপনি কতটা রোগমুক্ত। আমাদের শরীরের নানা রোগ বাসা বাধে। প্রস্রাবের রং দেখে অনেক রোগের লক্ষণ বোঝা যায়। আপনার প্রস্রাবের রং যদি হলুদ হয় তা প্রাথমিকভাবে পানি শূন্যতার লক্ষণ প্রকাশ করে। এমত অবস্থায় আপনার প্রচুর পানি পান করার প্রয়োজন।
প্রচুর পানি পান করার পরও যদি প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক না হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক সময় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধ বা ভিটামিন সেবন করলেও প্রস্রাবের রং হলুদ হতে পারে। তাই কোন সময় হঠাৎ প্রস্রাবের রং হলুদ হলে আতঙ্কিত হতে নেই।
তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়া তা কিছু রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই আপনার উচিত হবে প্রথমেই আপনার প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়ার কারণ সনাক্ত করা।
আবার কোন কোন সময় অচমকায় মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দেয়। যথাসময়ে এর চিকিৎসা না করলে তা কিডনিকেও সংক্রমিত করে।
বর্তমানে সারাদেশে তাপদাহ চলছে। তীব্র গরমে ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে লবণ পানি বের হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় পর্যাপ্ত পানি পান না করলে প্রস্রাবের রং হলুদ হওয়া এবং প্রসাবের জ্বালাপোড়া হওয়া স্বাভাবিক। আর এভাবেই প্রস্রাবে সংক্রমণ বা ইউরিন ইনফেকশনের বৃদ্ধি পায়।
কোন কোন সময় অচমকায় মূত্রনালিতে সংক্রমণ দেখা দেয়। যথাসময়ে এর চিকিৎসা না করলে তা কিডনিকেও সংক্রমিত করে। যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।
অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কিছু ওষুধ ব্যবহার করেন। যা একেবারেই অনুচিত।
প্রস্রাবের সংক্রমণের সমস্যায় সাধারণত নারীরা বেশি ভোগে থাকেন। কম পানি পান করা ও ঘরের বাইরে বেশি কাজ করার কারণে এমন সমস্যা বেশি দেখা যায়।
ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণ সমূহ -
১. শুধুমাত্র প্রস্রাবের ইনফেকশনের কারণে জ্বর হলে তার সাথে অন্যান্য উপসর্গ হিসেবে সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা থাকে না।
২. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও পরিমাণে কম হওয়া।
৩. ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ হওয়া।
৪. প্রস্রাবের রং হলুদ বা লালচে হওয়া।
৫. প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
৬. দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হওয়া।
৭. নারীদের বিশেষ অঙ্গে ব্যথা অনুভব করা।
৮. পুরুষদের মলদ্বারে ব্যথা অনুভব হওয়া।
৯. পেট ও কোমরের মাঝ অংশে ব্যথা অনুভব করা।
১০. শরীরে শীত লাগা।
১১. মাঝারি থেকে তীব্র জ্বর হওয়া।
১২. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
ইউরিন ইনফেকশন হলে করণীয় -
১. ইউরিন ইনফেকশন থেকে মুক্তি পেতে উপযুক্ত চিকিৎসার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পানির কোন বিকল্প নেই। প্রস্রাবে হলুদ ভাব দেখা দিলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সাধারণত দিনে ৩-৪ বার প্রস্রাব হওয়া উচিত ।
২. প্রস্রাব কম হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। কোন অবস্থাতেই দীর্ঘ সময় প্রস্রাব চেপে রাখা যাবে না। প্রস্রাব চেপে রাখলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৩. খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ভিটামিন সি রাখতে হবে। ভিটামিন সি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার পাশাপাশি প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমায়।
৪. আনারসে ব্রোমেলাইন নামক একটি উপকারী উৎসেচক বিদ্যমান থাকায় ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় আনারস রাখুন। এতে আরোও বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
৫. প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি করে। ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হওয়ায় সংক্রমণ কমতে থাকে। টকদই প্রোবায়োটিকের ভালো উৎস।
প্রোবায়োটিক হচ্ছে এমন একটি অণুজীব বা ব্যাকটেরিয়া যা মানবদেহের জন্য উপকারী। প্রোবায়োটিক মানবদেহের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।
পোস্ট ট্যাগ -
প্রস্রাব হলুদ হওয়ার কারণ কি , হলুদ প্রস্রাব থেকে মুক্তির উপায় , শিশুর প্রস্রাব হলুদ হওয়ার কারন কি , প্রসাব হলুদ ও গন্ধ হওয়ার কারণ , সকালে প্রস্রাব হলুদ হয় কেন , প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার , প্রস্রাব হালকা হলুদ হওয়ার কারণ , প্রস্রাব হলুদ হলে কি খাওয়া উচিত , প্রস্রাব হলুদ হওয়ার কারণ কি , হলুদ প্রস্রাব থেকে মুক্তির উপায় , প্রসাব হলুদ ও গন্ধ হওয়ার কারণ , সকালে প্রস্রাব হলুদ হয় কেন , শিশুর প্রস্রাব হলুদ হওয়ার কারন কি , প্রসাব হলুদ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার