বিশ্বব্যাপী চা প্রেমীর সংখ্যা অগণিত। বন্ধুদের আড্ডায় বা কাজের সময় শরীরের ঝিমুনি ভাব দূর করে শরীর ও মনকে চাঙ্গা করে কাজে মনোনিবেশ করতে চায়ের বিকল্প নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এক কাপ চা মনে প্রশান্তি দেয়। আপনি কি কি জানেন? ‘চা দিবস’ নামেও একটি দিন রয়েছে। এই দিবসটি উদযাপনের পেছনেও নানা কারণ রয়েছে।
আজ ২১ মে (মঙ্গলবার) বিশ্ব চা দিবস। এ জন্যই বলা হয়, আজকের দিনটি চা প্রেমীদের বিশেষ দিন। তারা চাইলে আজকের এই বিশেষ দিনে বন্ধু - বান্ধব, আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতজনদের সাথে একত্রিত হয়ে চায়ের আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন।
ন্যাশনাল টুডে'র প্রকাশিত এক তথ্য মতে, সারাবিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে মানুষ প্রায় ২৫,০০০ কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ সারা দিনের হিসেবে সংখ্যাটা, যা প্রতিদিন প্রায় ২ বিলিয়ন কাপে গিয়ে দাঁড়ায়।
চা দিবস পালন শুরু হয় ২০০৫ সাল থেকে। বিশ্বের শীর্ষ চা উৎপাদনকারী দেশগুলো একমত হয়ে চা দিবস পালন শুরু করেন।
শীর্ষ চা উৎপাদনকারী দেশগুলো হচ্ছে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর চা দিবসকে স্বীকৃতি দেয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২১ মে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে জাতিসংঘ।
চা এখন আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। চা ছাড়া অফিসের কাজ, বন্ধুদের আড্ডা কোনটিই যেন জমে না। কেউ মানসিক চাপের সময় চা পান করেন , আবার কেউ আয়েশ করে চা এর কাপে চুমুক দেন। সব মিলিয়ে দিনের কোনো একটি সময় আমাদের চা পান লাগবেই লাগবে।
পোস্ট ট্যাগ -
চা দিবস কত তারিখে , জাতীয় চা দিবস ২০২৩ এর প্রতিপাদ্য , জাতীয় চা দিবস ২০২২ এর প্রতিপাদ্য , বিশ্ব চা দিবস 2023 , ১৫ ই ডিসেম্বর কি দিবস , চা পাতা কিভাবে তৈরি হয় , চা রচনা , বিশ্বে চা উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান কত