Whatsapp এ সম্প্রতি যুক্ত হওয়া নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো WhatsApp Channel. Whatsapp এর নিয়ন্ত্রণ সংস্থ্যা Meta বাংলাদেশসহ ১৫০টি দেশে এ ফিচারটি চালু করেছে। এই WhatsApp Channel এর মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করাসহ নানা সুবিধা মিলবে। তাই এই ফিচারটি টেক দুনিয়ায় বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে।
Meta জানিয়েছে, WhatsApp ব্যবহারকারীরা Channel বানিয়ে Community তৈরির পাশাপাশি বেশ কিছু উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
১.পণ্য বিক্রির সুবিধা -
Whatsapp Channel এর মাধ্যমে বিভিন্ন Product ও Accessories বিক্রির সুবিধা রয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট Physical Products না থাকলেও বিভিন্ন Website template , Graphics template, e-book, Online course, Digital products ইত্যাদি Promote করে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের মাধ্যমে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।
২. ক্যাটালগ দেখিয়ে উপার্জনের উপায় -
আপনার যদি ছোট কোনো ব্যবসা থাকে তাহলে WhatsApp চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে খুব সহজেই পৌঁছানো যাবে। চ্যাটের মাধ্যমে নিজের Product এর Catalogue দেখানো ও কাস্টমার এর Order নেয়া যাবে। এছাড়াও এখানে পেমেন্ট সাপোর্টও পাওয়া যাবে।
৩. Link পাঠিয়ে উপার্জন -
Affiliate marketing করে অনলাইনে টাকা উপার্জন করা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এ জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি ই-কমার্স সাইট এ সুনির্দিষ্ট নিয়মে একটি এফিলিয়েট একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে। তারপর আপনার একাউন্ট এ login করে আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংক (Refer Link) WhatsApp Channel এ Promote করে সেই সেবাটি বিক্রি করতে সক্ষম হলে বিক্রেতা তার লাভের একটি অংশ কমিশন হিসেবে আপনার একাউন্ট এ জমা করবেন। বর্তমানে অনলাইনে উপার্জনের জনপ্রিয় উপায়গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
৪. ওয়ার্কশপ তৈরি করা -
ব্লক - বাটিক, হাতের কাজ, রান্না, আঁকা, হাতের লেখা, ফটোগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি ইত্যাদি বিষয়গুলির উপর অনেকের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। উল্লেখিত বিষয়ের ওপর ওয়ার্কশপ তৈরি করে WhatsApp Channel এ দিতে পারেন। এতে কাস্টমারদের থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ নিতে পারেন। Whatsapp এ ওয়ান-অন-ওয়ান কোচিংও করাতে পারেন এর ভিডিও কলিং সুবিধা কাজে লাগিয়ে।
৫. Freelancing সুবিধা -
বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার পছন্দ করেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য একাধিক Marketplace রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ যেহেতু একটি Personalized Popular App তাই এখানে নিজের দক্ষতাকে খুবই স্বচ্ছভাবে ক্লায়েন্টদের সঙ্গে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। আপনার পছন্দের তালিকায় যদি Graphics design, Programing, Article writing ইত্যাদি থাকে তাহলে WhatsApp Channel বানিয়ে ফলোয়ারদের উল্লেখিত পরিষেবা দিতে পারেন।
WhatsApp Chanel তৈরি করবেন কীভাবে?
WhatsApp Chanel তৈরি করার পদ্ধতি নিম্নরূপ -
১. প্রথমে আপনাকে একটি Mobile number দিয়ে WhatsApp account খুলতে হবে।
২. এরপর Update tab এ গিয়ে + আইকনে Click করতে হবে।
৩. তারপর New Channel এ ক্লিক করতে হবে।
৪. এবার Get started এ ক্লিক করে On screen instructions এ যা কিছু লিখা থাকবে, তা মেনে চলুন।
৫. তারপর Channel এর নাম দিন।
৬. চ্যানেলের নাম দেয়ার পর Customize করার অপশন দেখতে পাবেন।
৭. এবার Customize Option থেকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে একাউন্ট তৈরী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
শেষ কথা -
WhatsApp এর নতুন ফিচারটি Android , IOS ও Desktop এর সর্বশেষ ভার্সনে ব্যবহার করা যাবে। তবে এই ফিচারটি নতুন হওয়ায় আপনার অ্যাকাউন্টে সাবস্ক্রাইব করার অপশন থাকলেও নতুন চ্যানেল তৈরি করার অপশন নাও থাকতে পারে। এই ফিচারটি সকল ইউজারদের জন্য উন্মুক্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে।
পোস্ট ট্যাগ -
How to earn money by WhatsApp channel? , How to make money on WhatsApp? , How to make a WhatsApp channel popular? , What are the benefits of WhatsApp channels? , হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল , Whatsapp থেকে ইনকাম , কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় ২০২৪ , ফেসবুক প্রোফাইল থেকে কি টাকা ইনকাম করা যায় , WhatsApp বিজনেস , WhatsApp Business account , WhatsApp Business Download for PC , whatsapp ( open) , হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দিয়ে টাকা ইনকাম? , হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম করা যায়? , হোয়াটসঅ্যাপ স্টিকার দিয়ে টাকা ইনকাম? , হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের সুবিধা? , ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায় , হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড , হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করবেন যেভাবে , ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে আয় করা যায় , কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায় , হোয়াটসঅ্যাপ ফিচার , হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক হলে কিভাবে বুঝব